যার নিঃস্বার্থ অবদানের শিশির সিঞ্চনে
কুয়াশার প্রহেলিকা অতিক্রম করে
অবলীলায় –যে পাখিটি
ভোরের সূর্য দেখেছে।
প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষিকা
মিসেস আয়েশা আমীন
বনানী বিদ্যানিকেতন
জন্মঃ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯২৫
মৃত্যুঃ ১৭ মার্চ, ১৯৯৪
বনানী বিদ্যানিকেতনে মিসেস আয়েশা আমীনের কার্যকাল ও (৩১ জানুয়ারি ১৯৭২ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯০)
বনানী বিদ্যানিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষিকা মিসেস আয়েশা আমীন ফরিদপুর জেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রথম জীবনে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ১২ বছর সহকারি প্রধান শিক্ষিকা হিসাবে আজিমপুর গার্লস স্কুলে দায়িত্ব পালন করেন । তাঁর তত্ত্বাবধানে ১৯৭২ সনের ৩১ জানুয়ারি বনানী আবাসিক এলাকায় ডি-৪৭ এ একটি পরিত্যক্ত দোতলা বাড়িতে ১৯৭ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে বনানী বিদ্যানিকেতনের যাত্রা শুরু হয়ে পরবর্তীতে তিনি রাজউক বরাদ্দকৃত বনানীর বি ব্লকের সাড়ে সাত বিঘা জমির উপর অক্লান্ত পরিশ্রম, আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও সততা নিয়ে টিনশেড হতে উত্তর দিকের বর্তমান ত্রিতল ভবনটি গড়ে তোলেন। তিনি ১৯৮৯ সালে জাতীয় পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিকার সম্মান অর্জন করেন। মৃত্যুর পূর্বে তিনি নিজের নামে এক লক্ষ টাকা, স্বামী মরহুম রুহুল আমীন সাহেবের নামে এক লক্ষ টাকা, অকাল প্রয়াত একমাত্র সন্তান নুরুল আমীন জাকি- এর নামে এক লক্ষ টাকা, মোট ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা স্কুলের ফান্ডে গরীব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার সাহায্যের জন্য দান করেন। তার নিরলস কর্মজীবনে ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময়ে অনেক উপদেশের মাত্র কয়েকটি কথা আজকের ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলঃ
ঘটনা-দুর্ঘটনা, সুখ-দুঃখ, ব্যথা-বেদনা সবকিছু মানুষকে ঘিরে আবর্তিত। মানুষই আমাদের শক্তি। নিঃস্বার্থভাবে মানুষের প্রতি যার যত আগ্রহ সে তত দৃঢ় মনোবলের অধিকারী হয়। কারণ তার ভিত্তি হল মানুষ । উপরোক্ত কয়েকটি কথা আমি ছাত্রীদের উদ্দেশ্যেই বললাম। জীবনে চলার পথে তারা জীবনের প্রয়োজনেকে কোথায় কখন তোমার পাশে এসে দাড়াবে, তা তোমরা জাননা। মূল্যবান এ কথাটি যদি অনুধাবন করতে পারো তবে এ কাজ তোমাদের জন্য সহজ হয়ে যাবে। ভাল-মন্দ নিয়েই দুনিয়া কেন মানুষ ভাল হয়, কেন মানুষ মন্দ হয়, এ নিয়ে আজকের এ লেখা নয়, শুধু সংক্ষেপে একটা কথা বলতে চাই, পাপকে ঘৃণা কর পাপীকে নয়- এর সুফল যে কত সুদূরপ্রসারী, আমার জীবনেই আমি তা অনুধাবন করেছি।